বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পটলের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। এর ইংরেজী নাম Multitude। আমরা প্রায়
সকলেই পটল পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের মদ্ধ্যে অনেকেই আছেন যারা পটল পছন্দ করেন না।
এর কারন পটলের বিচি। পটলের বিচি কামড়ে পড়লে একধরনের শব্দ হয়। এটা অনেকে সহ্য করতে পারেন
না। কিন্তু আজ যদি আপনারা জানেন পটলের কি কি ঔষধী গুণাগুণ রয়েছে। তাহলে আজ থেকেই
পটল আপনাদের পছন্দের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তাহলে আসুন জেনে নিই
পটলের কি কি গুণাগুণ রয়েছে।
পটল একটি শীতকালীন সবজি বা তরকারি। এই পটল আমরা
ভাজি করে বা তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়। পটলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি১, বি১, সি,
ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
সবুজ রঙের এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার বা আঁশ। এই ফাইবার খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
দূর করে। এক্ষেত্রে পটল ও ধনে পাতা হালকা ছেঁচে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি ৩
বারে পান করুন। হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ
নিয়মিত পটল খেলে আমাদের রক্ত পরিষ্কার থাকে।
ফলে ত্বক ভাল থাকে। তাই ত্বকের যত্ন নিতে বেশী করে পটল খান।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
পটলে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় পেট ভরা
মনে হয় এবং ক্ষুদা কম লাগে। ওজন কমাতে নির্দ্বিধায় পটল খান। নিয়মিত পটল খেলে
আমাদের শরীরের ওজন বাড়ে না।
পটলের বীচিতে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে ও চিনির পরিমাণ
স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদরোগ ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে না। তাই নিয়মিত বেশী করে পটল
খান।
ঠান্ডা জনিত সমস্যায় পটলঃ
ফ্লু জনিত সমস্যা যেমনঃ- জ্বর, সর্দি, গলা
ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যায় আজকাল পটল ব্যাবহার করা হয়।
ত্বকের যত্নে পটলঃ
পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের ফ্রী র্যাডিক্যালের বিস্তার রোধ করে। ফলে
আমাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ
আগেই বলেছিলাম পটলের বিচি কামড়ে পড়লে যে শব্দ
হয় সেটা অনেকে সহ্য করতে পারে না। কিন্তু পটোলের বীচি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে মল
বাহির করতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যাথায় পটলঃ
পটলের রস
মাথায় লাগালে মাথা ব্যাথা দূর হবে এবং যাদের অল্প বয়সে টাকের সমস্যা রয়েছে তাদের
টাক সমস্যা দূর হবে।
স্বাস্থ্য
ভাল রাখতে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন
বিঃদ্রঃ পটল একটি আদর্শ সবজি বা তরকারি।
যার য়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই আসুন বেশী করে পটল খাই সুসাস্থ্য গড়ে তুলি।
No comments:
Post a Comment