বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশ
একটি নদীমাতৃক দেশ। এ দেশে সকল প্রকার মাছ পাওয়া যায়।নদী-নালা, খাল-বিল ইত্যাদি
মাছে ভরপুর। প্রধান আমিষ জাতীয় ৫ টি
খাদ্যের মধ্যে মাছ হল অন্যতম প্রধান খাদ্য। আমরা আজ জানব এমনই একটি স্বাস্থ্য
উপকারিতা সম্পর্কে যা সকলেরই চেনা। এটি হল চিংড়ি।
চিংড়ি কোন মাছ নয়। এটি জলাশয়ের একটি পোকা
হলেও আমরা একে মাছ হিসেবেই ধরে নিই। এই চিংড়ি মাছে রয়েছে বিভিন্ন পুশটিগুণে ভরপুর।
চিংড়ি কয়েক প্রকার। গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, দেশী চিংড়ি ইত্যাদি। এর ইংরেজী নাম Shrimp। এই চিংড়ি মাছে
রয়েছে অনেকগুলী পুষ্টি উপাদান। যা মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চিংড়ি
মাছের গুণাবলীঃ
আয়রনের অভাব দূর করেঃ
আয়রনের অভাবে অনেক সময় আমাদের শরীর দুর্বল
হয়ে পড়ে। এই চিংড়ি মাছ আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব দূর করতে পারে খুব সহজেই। কারন
প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ১৭% আয়রন। নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে আমাদের শরীরে
আয়রনের অভাব দূর হয়ে যায়।
রক্ত স্বল্পতা দূর করতে চিংড়িঃ
চিংড়ী মাছ আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বা
রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে। কারন এতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ । এই ভিটামিন বি ১২ আমাদের
শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চিংড়িঃ
চিংড়িতে রয়েছে নিয়াসিন নামক অত্যন্ত
উপকারী উপাদান। যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে
এনার্জিতে রুপান্তরিত করে। ফলে শরীরে চর্বি জমার কোন অভিপ্রায় নেই ও ওজন থাকে
সঠিক।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করে চিংড়িঃ
নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়
এবং হাড় মজবুত থাকে। কারন চিংড়ি মাছে রয়েছে ফসফরাস নামক এক বেশেষ সাস্থ্যকর
উপাদান।
বিষন্নতা দূর করে চিংড়িঃ
চিংড়ি আমাদের দেহের বিষন্নতা দূর করে।
কারন প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড।
বিশিষ্ট গবেষকদের মতে মানবদেহের মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা আমাদের বিষাদ
বা বিষন্নতা দূর করে।
প্রস্রাবের সমস্যায় চিংড়িঃ
চিংড়ি মাছে রয়েছে জিংক নামক উপাদান। যা
আমাদের প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এই জিংক মুত্রথলি
সংক্রান্ত ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা করতে পারে।
ডায়বেটিস সারাতে চিংড়িঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ৮%
ম্যাগনেসিয়াম। আর এই ম্যাগনেসিয়াম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ উপাদান। ম্যাগনেসিয়াম
আমাদের শরীরে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এই ম্যাগনেসিয়াম ডায়বেটিস রোগীদের
জন্য গুরুত্বপুর্ণ উপাদান। নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সঠিকভাবে
বজায় রাখে। ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
থাইরয়েডের সমস্যায় চিংড়িঃ
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চিংড়ি মাছে রয়েছে
এর ১০% কপার। যা আমাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখে ও থাইরয়েড গ্রন্থির
কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত চিংড়ী মাছ খেলে থাইরয়েড জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত
থাকা যায়।
ত্বকের যত্নে চিংড়িঃ
চিংড়ি মাছে রয়েছে এর ৪২% প্রোটিন। এই
প্রোটিন আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে আমাদের ত্বক, চুল এবং নখকে সুন্দর
রাখতে যতেষ্ট ভুমিকা রাখে।
সুস্থ্য
থাকতে চাইলে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন
চিংড়ি মাছ |
মন্তব্যঃ
চিংড়ি মাছের এত গুণাগুণ থাকা সত্বেও যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা চিংড়ি
মাছ থেকে দূরে থাকাই উত্তম।
No comments:
Post a Comment