বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহম
আমরা এশিয়া উপমহাদেশের
মানুষ মশলা জাতীয় খাবার খুব ভালবাসি। প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় প্রচুর
পরিমাণে মসলা থাকে। এরই মধ্যে একটি খুবই উপকারী মশলা হল আদা। যার ইংরেজী নাম Ginger। এই আদা
আমাদের সকলের ঘরেই থাকে। খাবারের মাণ বাড়ানো ছাড়াও আদার রয়েছে কিছু ঔষধী গুণাগুণ।
চলুন আজা আমরা আদার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ কিছু উপকারিতার কথা জেনে নিই।
আদার গুরুত্বপুর্ণ
১৬ টি উপকারিতাঃ
কাশি হলে আদাঃ
আদার রস, মধু, মিছরি ও লেবুর রস সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে
দিনে ২/৩ বার খেলে কাশি ভাল হয় হয়। এছাড়া আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলেও খুব ভাল উপকার
পাওয়া যায়।
ক্ষুদা মন্দায় আদাঃ
আদার রস, সৌন্ধব
লবণ ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ভাত খাওয়ার
আগে খেলে ক্ষুদা মন্দা দূর হয় ও ক্ষুধা পায়। এই আদা খেলে কফ ও বায়ু জাতীয় সমস্যা
থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
জ্বর হলে আদাঃ
আদা ও পুদিনার পাঁচন তৈরি
করে পান করলে জ্বর ভাল হয়ে যায়। এটি শীতজ্বরেও খুব ভাল কাজ করে। কথাটি শোনে অবাক
হবেন না।
গলা ব্যসে গেলে আদাঃ
গলা বসে গেলে বা গলা ভেঙে
গেলে আদা খুব ভাল কাজ কাজ করে। আদার রস মধুতে মিশিয়ে সেবন করলে বসে যাওয়া গলা ঠিক
হয়ে যায় বা গলা ভাঙ্গা ভাল হয়ে যায়।
কুষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আদাঃ
পেটে গ্যাস হলে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আদা কুচি
সামান্য লবণ দিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়ে যাবে ও পেটে গ্যাস হবে
না।
পেট ব্যথা হলে আদাঃ
অল্প পরিমাণে পুঁদিনার রস
ও আদা নিয়ে সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে খেলে পেট ব্যাথা ভাল হয়ে যায়।
সর্দি হলে অনেক সময় নাক দিয়ে অনর্গল জল পড়তে
থাকে। এ সময় ভাল পরিবেশে তো যাওয়াই যায় না নিজেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পানি
মুছতে মুছতে নাকের বারোটা বেজে যায়। এ সমস্যায় আদা ভাল করে ছিলে একদম মিহি করে
বেঁটে অল্প পরিমাণ ঘি দিয়ে বাঁটা আদা ভেজে নিন। এবার অল্প চিনির শিরার সাথে আদা
ভাজা গরম করে নিন। এবার তাতে জিরা, সুঁঠ, নাগেশ্বর, জয়ত্রী, তেজপাতা, এলাচ, ধনে,
গোলমরিচ, কালি জিরা ভালকরে মিশিয়ে আবার গরম করে নিন। এবার ১০ গ্রাম পরিমাণ
প্রতিবার নিয়মিত খেতে পারেন। সর্দি হাওয়া হয়ে যাবে।
বমি হলে আদাঃ
বমি হতর থাকলে আদার রস ও পিঁয়াজের রস মিশিয়ে
পান করতে পারেন। এতে বমি ভাল হয়ে যাবে।
বাতের ব্যাথায় আদাঃ
যাদের বাতের ব্যাথা রয়েছে তারা আদা কুচি করে
মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন খুব ভাল উপকার পাবেন।
গিঁটে ব্যাথায় আদাঃ
যাদের গিঁটে ব্যাথা রয়েছে তারা আদা কুচি করে
কেটে খাঁটি ঘি দিয়ে খেতে পারেন। আবার এই কুচি করে কাটা আদা তিলের তেলে ভেজে
ব্যাথার স্থানে ভাল করে মালিশ করলেও ব্যাথা দূর হয়।
এজমা ও মাইগ্রেনের সমস্যায়ঃ
ঋতু পরিবর্তনের সময় যাদের এজমার সমস্যা
রয়েছে তাদের খুব অসুবিধা হয়। আবার মাইগ্রেনের সমস্যাও হয়। এক্ষেত্রে আদা কুচি করে
অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আদাঃ
আদায় আছে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ফলে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে আদাঃ
আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে আদা বেশ
কার্যকরি। কারণ এতে আছে টিস্যু ফাইবার। এই টিস্যু প্রচুর পরিমাণে এনার্জি ব্যাবহার
করে। ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন হয় না।
বয়সের ছাপ ধরে রাখতে আদাঃ
আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যন্টি-এইজিং ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে ও দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ফলে
বয়সের ছাপ পড়ে না।
স্বাস্থ্য ভাল রাখে আদাঃ
আদা আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকে প্রয়োজনীয়
ভিটামিন শোষে নেয় এবং সমস্ত শরীরে সঠিক পরিমাণে পরিচালনা করে। ফলে স্বাস্থ্য ভাল
থাকে।
সাইনাসের সমস্যায় আদাঃ
যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত
আদা খেতে পারেন। খুব ভাল উপকার পাবেন।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো
তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
বিঃদ্রঃ
আদা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ঔষধী গুণাগুণ সম্পন্ন মসলা জাতীয় ফসল। তাই সুস্থ্য থাকার
জন্য নিয়মিত পরিমাণমত আদা খাই।
No comments:
Post a Comment