বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রাচীঙ্কালের মানুষ আর বর্তমান
যুগের মানুষের জীবন মানে অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রাচীন কালের মানুষ সম্পুর্ণ
প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বর্তমান কালের মানুষ অনেকটাই আধুনিক্মভাবে
জীবনযাপন করে। প্রাচীন কালের মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে তাদের সকল চাহিদা
মেটাত। যেমনঃ- বন-জঙ্গল থেকে তারা খাবার, লজ্জা নিবারনের উপকরন, চিকিৎসা ও
বাসস্থানের ব্যাবস্থাও বন-জঙ্গল থেকেই করত। প্রাচীন কালের মানুষ বন-জঙ্গল থেকে যে
ঔষধ গ্রহন করত তা প্রকৃতই পার্শ্বপ্রতিকৃয়া মুক্ত ছিল। এমনই একটি পার্শ্বপ্রতিকৃয়া
মুক্ত ভেষজ উদ্ভীদ নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হল ক্যাকটাস বা ফণিমনসা।
ক্যাকটাস হচ্ছে কাটাযুক্ত গাছ।
ক্যাকটাস কাঁটা যুক্ত হলেও এর বেশ কিছু ঔষধী গুণ রয়েছে। এটার সম্পুর্ন অংশ খাওয়া
যায় না। এর পাতা এবং ডাটা কাঁটা ফেলে প্রকৃয়াজাত করে খেতে হয়। নিচে আমরা ক্যাকটাস
কিভাবে খাওয়া যায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।
ক্যাকটাসের ঔষধী গুণাবলী গুলোঃ
ক্যাকটাসে রয়েছে
ভিটামিন এ, সি, সহ আরো বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। এতে আর আছে ফাইবার ও উচ্চমাত্রার
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামক গুরুত্বপুর্ণ উপাদান।
চোখের দৃষ্টি ভাল রাখতেঃ
ক্যাকটাসে আছে
ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। ভিটামিন এ
থাকার কারনে ক্যাকটাস খেলে রাতকানা রোগ হয় না, চোখের দৃষ্টি ভাল থাকে এবং চোখের
ছানি পড়া রোধ করতে পারে। সর্বোপরি চোখের জন্য ক্যাকটাস অতুলনীয় একটি ভেষজ উদ্ভীদ।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ক্যাকটাসঃ
ক্যাকটাসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
থাকায় ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্যাকটাসঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যাকটাসে উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ১০০% কার্যকরী।
কুষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ক্যাকটাসঃ
ক্যাকটাসে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে
খনিজ, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার। ক্যাকটাসে বিদ্যমান এই ফাইবার হজম শক্তি
বাড়িয়ে তোলে ফলে কুষ্ঠকাঠিন্য হয় না।
মাংসপেশীর ব্যাথা দূর করতে ক্যাকটাসঃ
ক্যাকটাসে সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ উপাদান থাকায় মাংসপেশীর ব্যাথা দূর করতে দ্রুত কার্যকরী।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
ক্যাকটাসে ক্যালরী পরিমাণ
অত্যন্ত কম থাকায় আমরা যে খাবারগুলো খাই তা থেকে চর্বি জমা হতে পারে না। ফলে
শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যাথায় ক্যাকটাসঃ দ্রুত কার্যকর।
ক্যাকটাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও খনিজ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদির
সমন্বয়ে ক্যাকটাসের ১ গ্লাস শরবত মাথা ব্যাথা সারাতে দ্রুত কার্যকরী।
ক্যাকটাস খাওার নিয়মাবলীঃ
এতক্ষন আমরা জানলাম ক্যাকটাসের
ঔষধী গুণাগুণ গুলী। এখন আমরা জানব ক্যাকটাস কিভাবে খাওার উপযোগী করা যায় বা খাওয়া
যায়।
ক্যাকটাস সংগ্রহ করে কাঁটা
ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করে বা রান্না করে খাওয়া যায়। এটি খাওার বিশেষ উপযোগী উপায় হল
ক্যাকটাসের পাতা, ডাল কাঁটা ছাড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে শরবত করে শরবতের সাথে মিশিয়ে অনায়াসে পান করা যায়।
আরও বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
মন্তব্যঃ ক্যাকটাস একটি কাঁটা যুক্ত গাছ
হলেও এর ঔষধী গুণ ব্যাপক। আকারে ছোট বলে বাড়ির ছাঁদে, আঙিনায় বা বাড়ির আশেপাশে
লাগানো যায়। এখন অনেকে শৌখিন ভাবে এই গাছ লাগায়।
No comments:
Post a Comment