বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম
আমরা প্রায় সকলেই যষ্টিমধু চিনি। এর ইংরেজী নাম Licorice আবার অনেকেই আছেন যষ্টিমধু চিনেন
না। পরীক্ষামুলক ও ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত হয়েছে যষ্টিমধুতে বিদ্যমান গ্লাইসিরাইজিন
ও গ্লাইসিরাটিক এসিড আলসার সৃষ্টিকারী ১৫ হাইড্রোক্সিপ্রোস্টাগ্লান্ডিন
ডিহাইড্রোজিনেস ও প্রোস্টাগ্লাইডিন রিডাকটেজ এনড্রাইমের কার্যকারীতা প্রতিরোধ করে ও
পাকস্থলীতে আলসার বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক এনজাইম প্রোস্টাগ্লান্ডিল ই এবং এফ নিঃসরণ
বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষা করে। ফলে আলসার জনিত সমস্যা
থেকে মুক্ত থাকা যায়। এক্ষেত্রে যষ্টিমধু ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে
পান করুন।
যকৃত বা লিভারের
সুরক্ষায় যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের আক্রমণ থেকে লিভার বা যকৃতকে
সুরক্ষা করে।
টিউমার
প্রতিরোধে যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইটিনিক এসিড টিউমার সৃষ্টিকারী “এপষ্টাইন বার” নামক ভাইরাস
এর আক্রমণ থেকে সুরক্ষা করে।
কাশি ও ক্বফ
জনিত সমস্যায় যষ্টিমধু সেবনে ক্বফ তরল আকারে বের হয়ে যায় এবং কাশি ভাল হয়ে যায়।
এছাড়া ব্রংকাইটিস, কন্ঠনালী ও টনসিলাইটিসের সমস্যা সমধান হয়।
এলার্জি জনিত
সমস্যায় যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক এসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিনের নিঃসরণ কমিয়ে
এলার্জি বিতাড়িত করে।
যষ্টিমধু
অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। যষ্টিমধু নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতিকর
ভাইরাসের আক্রমণ ব্যাহত হয়।
স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
বিঃদ্রঃ
যষ্টিমধু খুবই গুরুত্বপুর্ণ ঔষধ। নিয়মিত যষ্টিমধু খান দেহকে নির্ভেজাল রাখুন।
No comments:
Post a Comment