বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মেহগনি ফল |
কিভাবে ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন যাপন
করবেন:
বিশ্বের সকল মানুষ
আজীবন সুস্থ্য থাকতে চায়। কিন্তু
বিভিন্ন কারনে মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পরে। কিছু রোগ আছে
যা আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তেমনি একটি
রোগ ডায়াবেটিস। এই রোগের কারন
হলো রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যাওয়া। রক্তে চিনি বা Sugar এর পরিমান বেড়ে
গেলে যে কোন কাজ কর্মে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। এই ডায়াবেটিস
কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে যার কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়া
নেই।এমনই একটা ভেষজ গুন নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
মেহগনি গাছ বা গাছের ফল থেকে আপনি কিভাবে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রনে রাখবেনঃ
মেহগনি গাছের ইংরেজী
নাম হচ্ছে Mahogany । এর আদি নিবাস আমেরিকার
ক্রান্তিয় অঞ্চল। আমেরিকা থেকে এই
মেহগনি গাছ প্রথমে ভারতীয় উপমহাদেশে আসে তখন থেকে এ দেশে এই মেহগনি গাছের বিস্তার
হয়। এটি কাঠের জন্য
সমাদৃত। তবে এই মেহগনি গাছের
বেশ কিছু ভেষজ গুন রয়েছে। বাংলাদেশে
বসন্তকালে মেহগনি গাছের পাতা ঝরে যায় এবং নতুন পাতা গজায় তখন ফল থাকে। এই মেহগনি
গাছের ফলের ভিতরে যে সাদা শ্বাস রয়েছে তা সংগ্রহ করে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি
পেটে খেতে হবে।এভাবে ১৫-২০ দিন খেতে পারলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন থাকে এতে কোন
সন্দেহ নেই এবং এটি কৃমি নাশকও
বটে। মেহগনি গাছের ফলের শ্বাস
তিতাযুক্ত হওওয়ায় কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা
পাওয়া যায়। এই গাছের বাকল
ছেচে খেতে পারলে যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের জন্য বেশ উপাকারী। মেহগনি গাছের
ছাল ছেচে দৈনিক দুই বার পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারলে
আপনার বদহজম সেরে যাবে এবং লিভার ভাল থাকবে। আপনি থাকবেন
প্রাকৃতিক ভাবে সুস্থ্য।
কৃমি প্রতিরোধে
মেহগনির ভুমিকাঃ মেহগনি ফলের ভিতরের সাদা শ্বাস রাতে পানিতে
ভিজিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে একাধারে ১ সপ্তাহ খেলে ছোট-বড় কৃমির যন্ত্রণা ঠেকে
মূক্টী পাওয়া যায়। তবে সাবধান শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
সাস্থ্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
মেহগনি ফল |
বিঃদ্রঃ এই
পোষ্টটি যদি আপনি ভাল মনে করেন এবং মানুষের উপকারে আসবে আপনার মনে হয় তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করবেন।
No comments:
Post a Comment