বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমরা
এশিয়া উপমহাদেশের মানুষ খুব রসনা বিলাসী। আমরা
মশলা খুব ভালবাসি। আমাদের মহাদেশে মশলার বাণিজ্য শুরু করেছিল লিওনার্দো
দ্যা ভিঞ্চি নামক এক বণিক। আমরা প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মশলা
খেয়ে থাকি। এমনই এক মশলার নাম তেজপাতা। তেজপাতা কে না চেনেন? এটি একটি
সুগন্ধি মশলা। কাঁচা অবস্থায় তেজপাতার রং গাঢ় সবুজ আর শুকনা পাতার রং বাদামি হয়।
তেজপাতা শুধু মশলা হিসেবেই ব্যাবহার হয় না এর অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। নিম্নে
তেজপাতার কিছু ঔষধি গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হল।
তেজপাতার কিছু গুণাগুণ ও উপকারিতাঃ
১. যাদের শরীর হালকা গঠনের তাদের জন্য তেজপাতা খুবই
উপকারী। তেজপাতা কুচি করে হালকা ছেঁচে ২৫০
মিলিঃ গরম পানিতে অর্ধেক দিন ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ছেঁকে সকাল-বিকাল ১০/১৫ দিন খেলে
চেহারার লাবণ্য ফিরে আসে ও শরীরে জোর আসে।
২. অনেক সময় ঘন ঘন পিপাসা পায়। তখন অল্প পরিমাণ
পানিতে তেজপাতা সিদ্ধ করে ভাল করে ছেকে
পান করলে পিপাসা মিটে যাবে।
৩. অনেক সময় প্রস্রাব হলদে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে
তেজপাতা ২৫০ মিলিঃ গরম পানিতে ২/১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ২/৩ ঘণ্টা পর পর পান করলে
প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৪. চর্মরোগ হলে চেজপাতা হালহা ছেঁচে ৫০০ মিলিঃ
পানিতে সিদ্ধ করে সকাল-বিকাল ১ মাস পান করলে চর্মরোগ ভাল হয়ে যাবে। এছাড়া তুলা
ভিজিয়ে চুলকানি, দাদ ইত্যাদি জায়গায় লাগালেও চর্মরোগ সারে।
৫. তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল
করলেও এলার্জি ভাল হয়।
৬. তেজপাতা বেটে চন্দনের মত গায়ে লাগিয়ে ঘণ্টা
খানিক পর গোসল করুন। এতে শরীরের ময়লা পরিষ্কার হয়, গায়ে দুর্গন্ধ থাকলে দূর হয়।
৭. ফোঁড়া হলে তেজপাতা বেটে ২/৩ বার প্রলেপ দিলে
ব্যাথা কমে ও ফোঁড়া ভাল হয়।
৮. অনেক সময় সর্দিতে বা অতিরিক্ত জোরে চিৎকার করলে
গলা বসে যায়। এক্ষেত্রে তেজপাতা হালকা ছেঁচে ৩/৪ বার খেলে গলা ঠিক হয়ে যায়। অথবা
তেজপাতা পেঁচিয়ে বিড়ির মত বানিয়ে এর ধোঁয়া বিড়ির মত টানলে গলা ঠিক হয় এবং হালকা
কাশি দূর হয়।
৯. অরুচি কাটাতে তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি
দিয়ে কুলকুচি করলে অরুচি দূর হয়।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন এখানে
বিঃদ্রঃ তেজপাতা মশলা
জাতীয় উদ্ভীদ হওয়া সত্ত্বেও এটি ভেষজ গুণে ভরপুর।
No comments:
Post a Comment