name="description "content="this site is about herbal health"/> name="keyword "content="herbal health, herbal medicine, bangla health tips, unani medicine, ayurbadic"/> NATURAL HEALTH TIPS: 2016

Wednesday, December 28, 2016

চিরতার রয়েছে অনেক গুলি ঔষধি গুনাগুন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
 
চিরতা 

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বন-জঙ্গলের উপর নির্ভর করে আসছে। কালের বিবর্তনে মানুষ গাছ-পালা থেকে সরে আসছে। বহুকাল আগে থেকে চিরতা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছে। চিরতা এমন একটি ঔষধী গাছ যার উপকারিতা অনেক। নিম্নে চিরতার কিছু গুণাবলী ও উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হল।


চিরতার ঔষধি গুণাগুণঃ

পেটের সমস্যা সমাধান করেঃ
ডায়রিয়া,পেটফাঁপা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে চিরতা খুব ভাল কাজ করে। চিরতায় বিদ্যমান আমারোসউইন পেটের যেকোন সমস্যা সমাধান করে।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ
রক্তের গ্লুকোজ কমায়। তাই নিয়মিত চিরতার রস পান করলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কালাজ্বর প্রতিরোধ করেঃ
কালাজ্বর এমন একটি রোগ ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি মারাত্বক রুপ ধারন করে। চিরতায় চিরানটিন রয়েছে যা মানবদেহে কালাজ্বরের জীবাণু প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এমতাবস্থায় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস চিরতার রস পান করলে কালাজ্বরের সমস্যা দুর হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বৃদ্ধি করেঃ

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন তিতা খান তাদের অসুখ-বিসুখ কম হয়। যেকোন কাটা-ছিড়া,  ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করেঃ
ফাঙ্গাস জনিত সকল রোগের বিরুদ্ধে খুব ভাল কাজ করে এই চিরতা। পায়ের নখে ফাঙ্গাস জনিত কোন সমস্যা হলে চিরতার পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে এ সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন চিরতার রস পান করলে তা শরীরে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে।

এলার্জি দমনে কাজ করেঃ
এলার্জি জনিত সমস্যা যাদের আছে তারা নিয়মিত চিরতার রস পান করলে এলার্জি ভাল হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাত্রে ৪-৫ গ্রাম চিরতার ডাল ১ পোয়া গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ভাল করে ছেকে খালি পেটে পান করতে হবে।

রক্তপিত্ত জনিত সমস্যাঃ
রক্তপিত্ত জনিত সমস্যায় ৪-৫ গ্রাম চিরতা ১ পোয়া ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ২ বার পান করতে হবে।

ইনিফুল্যেঞ্জা হলেঃ
৮-১০ গ্রাম চিরতা আধা কেজি পানিতে সিদ্ধ করে পানি অর্ধেক হলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর ভাল করে ছেকে সকালে ও বিকালে ২ বারে পান করলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাল হয়ে যাবে।

গর্ভাবস্থায় বমি হলেঃ
সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে সকল নারীদেরই বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে এক্ষেত্রে ১ গ্লাস চিরতার গুড়া পানিতে মিশিয়ে পান করলে বমি কমে যাবে।

নব্যপ্রসূতির স্তন শোধনে সহায়তা করেঃ
বাচ্চা প্রসব করেছেন এমন মহিলাদের শরীরে জ্বর জ্বর ভাব হলে,  জড়তা ও গ্যাস জনিত সমস্যা হলে এই মায়ের বুকের দুধ পান করলে সন্তানের বমি,  পেটফাঁপা, পায়খানার রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় ৪-৫ গ্রাম চিরতা ১ পোয়া ঠান্ডা পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা পান করলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে।

হাঁপানী বা শ্বাসকস্টঃ
যাদের হাঁপানী জনিত সমস্যা আছে এবং পায়ুপথে রক্ত পড়ে তাদের চিরতার গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে ২-৩ বার চেটে খেতে হবে।

প্রচন্ড বমি হলেঃ
প্রচন্ড বমি হলে তাদের ক্ষেত্রে ২ কাপ হালকা গরম পানিতে ৪-৫ গ্রাম চিরতার গুড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২/১ ঘন্টা পর তা পান করতে হবে। এতে বমি কমে যাবে।

কৃমি হলেঃ
কৃমি জনিত সমস্যা সাধারণত ছোট বাচ্চাদের বেশী হয়। ১-২ পোয়া চিরতা একটু মধু অথবা চিনি মিশিয়ে খেলে কৃমি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পেটে ব্যাথা থাকলে সেরে যাবে।

চুলকানি বা খোস পাঁচড়া হলেঃ
২০ গ্রাম চিরতা অল্প পানিতে মিশিয়ে ছেকে সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপর অল্প অল্প করে চুলকানিতে লাগিয়ে দিতে হবে। এতে যেকোন ধরনের চুলকানি ভাল হয়ে যাবে।

চুল পড়া রোধেঃ
অল্প বয়সে চুল পড়ে গেলে কার ভাল লাগে বলেন! এক্ষেত্রে ২-৩ গ্রাম চিরতা আধা পোয়া পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই পানি ভাল করে ছেকে মাথায় ভাল করে লাগাতে হবে। এভাবে ১ দিন পর পর ১ সপ্তাহ লাগাতে হবে।

পঁচা ঘা হলেঃ
এমন কিছু পঁচা ঘা রয়েছে যেগুলো খুব সহজে সেরে উঠতে চায় না। এক্ষেত্রে ৮-১০ গ্রাম চিরতা আধা পোয়া কুসুম গরম পানিতে সে ঘা ২-৩ দিন ধুলে ঘা ভাল হয়ে যাবে।


ইউনানী চিকিৎসায় হৃদপিন্ড ও যকৃতের বলকারক,  জ্বর হলে উপকার করে ও চোখের জ্যোতি বাড়াতেও চিরতা খুব ভাল কাজ করে।


চিরতায় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যেমনঃ- এমারোজেন্টি গ্লোকোসাইড,  অফেলিক আসিড,  চিরাটিন যা চিরতায় তিতা স্বাদ আনে। এছাড়া এলকালয়েড ও ট্রাইতারপিনওয়েড এবং বিভিন্ন রকমের জ্যান্থোন্স,  স্টেরল, লিগনেন ইত্যাদি রয়েছে।


চিরতা সম্পর্কে রাসূল(সাঃ) এর উক্তি রয়েছেঃ- একদা রাসূল(সাঃ) এঁর মহিয়সী বিবিগনের মধ্যে কোন একজনের আঙ্গুলে ফোঁড়া হয়। তাঁর বর্নণা মতে রাসূল(সাঃ) আমাকে জিজ্ঞাস করলেন,  তোমার কাছে কি যারিয়াহ(চিরতা)আছে? আমি বললাম জি হ্যা আছে। রাসূল(সাঃ) এরশাদ করলেনঃ- ফোঁড়ার উপর যারিয়াহ লাগিয়ে দাও এবং এই দোয়া পাঠ কর।

এছাড়াও চিরতার আরো বিভিন্ন কার্যকারিতা আছে। যেমনঃ- লেশমেনিয়াসিস প্রতিরোধে,  শোথে,  কৃমিনাশকতায়,  জ্বর নিরাময়ে,  ম্যালেরিয়া হলে,  যক্ষা হলে, স্নায়ুর কার্য নিয়ন্ত্রনে,  যকৃত রক্ষা করতে,  কোমলতা আনে,  রেচনে,  উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে,  ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে,  পেটের ব্যাথায়,  টনিক হিসেবে,  রক্ত পরিস্কারেহৃদপিন্ড সচল রাখতে ইত্যাদি আরো অনেক কার্যকারিতা আছে এই চিরতার।

সাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন 
 
চিরতা 


বিঃদ্রঃ গর্ভবতী অবস্থায় চিরতার রস পান করবেন না। যাদের আলসার আছে তারা চিরতার রস পান করবেন না এবং একটানা পান করা যাবে না। কিছু দিন অন্তর অন্তর পান করাই উত্তম।

ডাবের পানির উপকারিতা জেনে নিন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 
ডাব 

পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকেই মানুষ গাছ-পালা থেকে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো মিটিয়ে আসছে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান সকল ধরনের চাহিদাই মিটায় গাছ-পালা থেকে। কিন্তু এই অতি অত্যাধুনিক যুগের মানুষ গাছ-পালা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু গাছ-পালা আমাদের উপকারের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। তাদের উপকার এখনো থেমে যায়নি। এমনই একটি উপকারি ফলের নাম ডাব। আজকে আমরা এই ডাবের গুরুত্বপুর্ণ উপকারিতাগুলো জেনে নিব।
        
ডাব আমাদের সকলের খুব সুপরিচিত ফল। গরমের অতিস্ট অবস্থা থেকে মুক্তি দেয় এই ডাব। ডাবের পানিতে রয়েছে অবিশ্বাস্য সাস্থ্যকর উপাদান যা আমাদের শুধু গরম থেকেই রক্ষা করে না বরং আরো অনেক ভাবে উপকার করে আমাদের। ডাবের ঐ সব উপকারগুলোর কথাই জানাব আজ।

ডাবের  পানির স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলোঃ

পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখেঃ
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা সঠিক রাখে।
নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গাস্ট্রিক বা আলসার থেকে রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
মূত্রনালিতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হলে ডাবের পানি খুবই সাহায্যকারী পানীয়। নিয়মিত ডাবের পানি পানে দাঁতের মাড়ি সুস্থ্য থাকে। শরীরের টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান দূর করে এই ডাবের পানি। ঠান্ডা জনিত ভাইরাস প্রতিরোধ করে এই ডাবের পানি। সর্বোপরি ডাবের পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়ঃ
ডাবের পানি ক্ষুদা কমাতে সাহায্য করে ফলে ওজন কমাতে সাহায্যকারী এই ডাবের পানি। কারন এতে খুবই অল্প পরিমাণে চর্বি রয়েছে। শরীর দুর্বল লাগলে ডাবের পানি পান করুন। দুর্বলতা কেটে যাবে।

ত্বকের জন্য উপকারিঃ
পরিষ্কার ন্যাকড়া বা তুলা ডাবের পাণীটে ভীজীয়ে ব্রণে লাগালে ব্রণ ভাল হয়ে যায় এবং ব্রণের দাগ থাকে না। বসন্ত হলে এর দাগও খুব সহজেই মুছে দিতে পারে এই ডাবের পানি। রুক্ষ ও তৈলাক্ত চেহারার জন্যও ডাবের পানি বেশ উপকারী। ত্বক সতেজ রাখতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করতে পারেন।

কিডনী রোগে ডাবের পানিঃ
কিডনীতে পাথর হলে বা অন্নান্য জটিলতায় ডাবের পানি খুবই কার্যকরী ভুমিকা রাখে। নিয়মিত প্রতিদিন ডাবে পানি পান করলে কিডনীটে পাঁথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং কিডনী সবসময় ভাল থাকে।

মাথা ব্যাথা দূর করতেঃ
যাদের মাথা ব্যাথা রয়েছে তারা নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাবেন এবং সকল ধরনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় ও শরীর সতেজ থাকে।

ইলেক্ট্রোলাইটাসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম ডাবের পানিঃ
বিশেশজ্ঞদের মতে ডাবের পানি গর্ভবতী মহিলাদের সকল সমস্যা দূর করতে সক্ষম। প্রতিদিন ১ গ্লাস ডাবের পানি শরিরে ইলেক্ট্রোলাইটাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। ইলেক্ট্রোলাইটাসের ভারসাম্যহীনতা আবার উচ্চ রক্তচাপকে বাড়িয়ে তোলে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে এখানেক্লিক করুন
 
ডাব 



মন্তব্যঃ ডাবের পানির অনেক গুণ রয়েছে এবং এটি অনেক উপকারী। কিন্তু এটি সবার জন্য সমান উপকার বয়ে আনে না। তাই যেকোন খাবার গ্রহন করার পুর্বে শরীরের অবস্থা বুঝে নেওয়া দরকার অথবা পুস্টিবিদদের মতামত নিয়েই গ্রহন করা উত্তম।

বকুল ফলের ঔষধি গুনাগুন জেনে নিন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বকুল ফল 


প্রাচীন কাল থেকেই গাছ-পালার ব্যাবহায় অনস্বীকার্য। চিকিৎসা, আসবাবপত্র, জ্বালানী, অস্ত্র, খাদ্যের জোগাড় ইত্যাদি নানা ব্যাবহারে গাছ-পালা অন্যতম ভূমিকা রাখে। আজকাল ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও গাছের পাতা-লতা ব্যাবহার করা হয়। সবচেয়ে বেশী উপকারী উপাদানটি হল অক্সিজেন যা আমরা নিশ্বাসের সাথে নিয়ে থাকি আর কার্বন-ডাই অক্সাইড যা প্রশ্বাসের সাথে ত্যাগ করে থাকি এটা আমাদের প্রতি মুহুর্তের ব্যাবহার্য উপাদান। ফলে গাছ না থাকলে আমরা অক্সিজেন কোথায় পেতাম কার্বন-ডাই অক্সাইড কোথায় যেত? যদিও পৃথিবীর ৪ ভাগের ১ ভাগ গাছ-পালা থাকা জরুরী কিন্তু তা নেই। তার পরেও আমাদের চির সবুজ বাংলাদেশে গাছপালার অভাব নাই। আমরা আজকে জানব বকুল গাছ সম্পর্কে।



বকুল গাছের পরিচিতিঃ

বকুল ফুল কে না চিনেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে বকুল ফুল দেখলেই খোঁপায় দিতে মন চায়। আর এর গন্ধ মনকে পাগল বানিয়ে দেয়। এর ভেষজ নাম Mimusopsঅনেকে একে বহুল, বুকাল, বাকুল, বাঁকাল ইত্যাদি নামেও চিনে। তবে বকুল নামটিই বেশী পরিচিত। ইংরেজী নাম Meddler, Spanish Cherry, Bullet Wood  ইত্যাদি। সাধারণত বর্ষাকালে এ গাছ রোপণ করা হয়। গ্রীষ্মকাল থেকে শরৎকাল পর্যন্ত ফুল হয়। বকুল গাছ ৩০-৪০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। পার্কে, রাস্তার পাশে ইত্যাদি স্থানে বকুল গাছ দেখা যায়। কিন্তু আমরা কি জানি বকুলের কিছু ঔষধী গুণ রয়েছে?


বকুলের ঔষধী গুণাবলীঃ

এলকোহল তৈরীতেও বকুলের ব্যাবহার রয়েছে।

সিরাপ তৈরীর পদ্ধতিঃ
পাকা বকুল ফল আধা কেজি, চিপে ১ পোয়া মধু মিশিয়ে ৩ দিন ঢেকে রেখে পাতলা ন্যাকড়া দিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ১ ফোঁটা ১ ফোঁটা করে পড়বে। এটা সংগ্রহ করে রাখুন। এটাই বকুলের সিরাপ।

মুত্র শিথিলতায়ঃ
যাদের প্রস্রাবে সমস্যা আছে। যেমন মুত্র ঢিলা বা কষা হয়। ১০ গ্রাম বকুলের ছাল চটকে ১ পোয়া পানিতে সিদ্ধ করে অর্ধেক হয়ে গেলে ভাল করে ছেঁকে দিনে ৩ বার পান করুন। দৈনিক ১ চামচ করে ১৫/২০ দিন পান করুন। উপকার পাবেন।

দাঁতে পোকা হলেঃ
দাঁতের মধ্যে গর্ত হলে বকুলের ছাল ১০ গ্রাম নিয়ে ৪ গ্রাম পানিতে সিদ্ধ করে ৪ ভাগের ১ ভাগ হলে ছেঁকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২ বার ৬/৭ চামচ করে মুখে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর ফেলে দিতে হবে। এভাবে ২ সপ্তাহ ব্যাবহার করুন।

দাঁত পড়ে গেলেঃ
অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে দাঁত নড়লে কাঁচা বকুল ফল কিছু দিন চিবুলে দাঁতের গোঁড়া শক্ত হবে। তবে শুকনো ফলের গুড়া দিয়ে দাঁত মাজলেও কাজ হবে।

কুষ্ঠ বদ্ধতায়ঃ
বকুলের বীজের ভিতরের অংশ বাদ দিয়ে বাকিটা চুর্ণ করে ঘি মিশিয়ে পানের বোঁটায় লাগিয়ে শিশুর পায়খানার রাস্তায় দিলে ১৫/২০ মিনিটের ভিতর কাজ হবে। তারপর ঘি বা নারিকেল তেল লাগিয়ে দিবেন।

নাসা জ্বর হলেঃ
এ ধরনের জ্বর সাধারণত সারা শরীরে ব্যাথা হয়। বকুল ফুলের চুর্ণের নস্যি নিলে খুব ভাল কাজ হয়।

মাথা ব্যাথায়ঃ
ফিটকিরির সাথে বকুল ফুল গুড়া করে ৮ ভাগের ১ ভাগ মিক্স করে রেখে দিন। এর নস্যি ব্যাবহার করলে মাথা ব্যাথা দূর হয়।

শ্বেতী রোগেঃ
শ্বেতী রোগ সবসময় এক হয় না তাই বুঝে নিতে হবে। যাদের শ্বেতী দুধের মত সাদা তাদের চিকিৎসা দুঃসাধ্য। যাদের শ্বেতী দুধের মত সাদা নয় তাদের ক্ষেত্রে ঘন ক্বাথে বকুল বীজ ঘসে ঐ দাগে আস্তে আস্তে ঘসতে হবে। আস্তে আস্তে দাগ হারিয়ে যাবে।

ঘন ক্বাথ তৈরী প্রনালিঃ
১০০ গ্রাম বকুলের ছাল ১ কেজি পানিতে সিদ্ধ করে অর্ধেক হলে ছেঁকে আবার ঘন করে আধা ছটাক আনুমানিক হয়ে গেলে সেটাই ঘন ক্বাথ। এ ঔষধ সেবন করার সময় শাক-সজ্বি খাওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে কবিরাজি আরো নিয়ম আছে।

আমাশয় হলেঃ
প্রতিদিন একটি পাকা বকুল ফলের শাঁস খেলে আমাশয় ভাল হয়।


বকুলের অন্যান্য ব্যাবহারঃ

বকুল ফুল দিয়ে সুগন্ধি তৈরী হয়। বকুল ফল পাকলে খাওয়া যায়। মালয়েশিয়াতে বকুল ফলের আচার খায়। দাঁতন হিসেবেও বকুলের ডাল ব্যাবহার করা হয়। বকুল কাঠ অনেক মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্যও বটে। ঘর বাড়ি তৈরীতে বকুল কাঠ ব্যাবহার করা হয়।

স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

 
বকুল ফল 


বিঃদ্রঃ বকুল খুব সুগন্ধি ফুল তাই আসুন আমরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে  বকুল গাছ লাগাই।

Tuesday, December 27, 2016

কিভাবে ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন যাপন করবেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

মেহগনি ফল 


কিভাবে ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন যাপন করবেন:

বিশ্বের সকল মানুষ আজীবন সুস্থ্য থাকতে চায়। কিন্তু বিভিন্ন কারনে মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পরে। কিছু রোগ আছে যা আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তেমনি একটি রোগ ডায়াবেটিস। এই রোগের কারন হলো রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যাওয়া। রক্তে চিনি  বা Sugar এর পরিমান বেড়ে গেলে যে কোন কাজ কর্মে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। এই ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে যার কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।এমনই একটা ভেষজ গুন নিয়ে আজকে আলোচনা করব।

মেহগনি গাছ বা গাছের ফল থেকে আপনি কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখবেনঃ 

মেহগনি গাছের ইংরেজী নাম হচ্ছে Mahogany এর আদি নিবাস আমেরিকার ক্রান্তিয় অঞ্চল। আমেরিকা থেকে এই মেহগনি গাছ প্রথমে ভারতীয় উপমহাদেশে আসে তখন থেকে এ দেশে এই মেহগনি গাছের বিস্তার হয়। এটি কাঠের জন্য সমাদৃত। তবে এই মেহগনি গাছের বেশ কিছু ভেষজ গুন রয়েছে। বাংলাদেশে বসন্তকালে মেহগনি গাছের পাতা ঝরে যায় এবং নতুন পাতা গজায় তখন ফল থাকে। এই মেহগনি গাছের ফলের ভিতরে যে সাদা শ্বাস রয়েছে তা সংগ্রহ করে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।এভাবে ১৫-২০ দিন খেতে পারলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন থাকে এতে কোন সন্দেহ নেই এবং এটি কৃমি নাশকও বটে। মেহগনি গাছের ফলের শ্বাস তিতাযুক্ত হওওয়ায় কৃমির উপদ্র হতে রক্ষা পাওয়া যায়। এই গাছের বাকল ছেচে খেতে পারলে যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের জন্য বেশ উপাকারী। মেহগনি গাছের ছাল ছেচে দৈনিক দুই বার পানিে ভিজিয়ে খেতে পারলে আপনার বদহজম সেরে যাবে এবং লিভার ভাল থাকবে। আপনি থাকবেন প্রাকৃতিক ভাবে সুস্থ্য।

কৃমি প্রতিরোধে মেহগনির ভুমিকাঃ মেহগনি ফলের ভিতরের সাদা শ্বাস রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে একাধারে ১ সপ্তাহ খেলে ছোট-বড় কৃমির যন্ত্রণা ঠেকে মূক্টী পাওয়া যায়। তবে সাবধান শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 সাস্থ্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন 

মেহগনি ফল 


বিঃদ্রঃ এই পোষ্টটি যদি আপনি ভাল মনে করেন এবং মানুষের উপকারে আসবে আপনার মনে হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।