name="description "content="this site is about herbal health"/> name="keyword "content="herbal health, herbal medicine, bangla health tips, unani medicine, ayurbadic"/> NATURAL HEALTH TIPS: January 2017

Sunday, January 22, 2017

নিয়মিত মধু ও রসুনের মিশ্রণ খেলে কি হয় জেনে নিন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মধু ও রসুন 


প্রাচিন কালে মানুষ জীবন যাপন করত সম্পূর্ণ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে বর্তমানে যুগের বিবর্তনে মানুষ এখন আর প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল নয়। মধু হচ্চে রোগ প্রতিরোধ খমতা বৃদ্ধির এক মহা ঔষধ।আর রসুন হল সুস্থ্য থাকার প্রাকৃতিক ভেষজ, এই দুই উপাদান মিলে একসাথে নিয়মিত খেলে কি হয় আজকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
সুস্থ্য থাকতে চাইলে মধু আপনাকে খেতেই হবে।

রসুন এবং মধু একসাথে খেলে কি কি উপকার মেলে চলুন জেনে নিই।

মধু ও রসুনের সাস্থ্য উপকারিতা সমূহ নিন্মরুপঃ

১।রোগ প্রতিরোধ খমতা বাড়াতে মধু ও রসুনঃ
 মধু ও রসুন এই দুই উপাদান একসাথে খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ খমতা বৃদ্ধি পাবে। এই দুই উপাদান একসাথে খেলে বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করার মত শক্তি আপনার দেহে জন্মাবে।

২। হৃদ রোগের জন্য উপকারি মধু ও রসুনঃ
মধু ও রসুন একসাথে খেলে আপনার ধমনীতে জমে থাকা চর্বি কেটে যেতে সাহায্য করবে যা হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে ফলে হৃদ রোগীদের জন্য দারুন এক উপযোগী খাবার এই মধু ও রসুন।

৩।গলা ব্যাথা সারাতেঃ
 ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যাথা হলে এই মধু ও রসুনের মিশ্রণ গলা ব্যাথা সারাতে খুব দ্রুত কাজ করে।

৪।ডায়রিয়া সারাতে মধু ও রসুনঃ
 ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা হলে মধু ও রসুনের মিশ্রণ খেতে পারেন অনায়াসে কারন এতে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে তা আপনার দেহের যে কোন ইনফেকশন দূর পারবে সহজে।

৫। ফাঙ্গাল দূর করতে মধু ও রসুনঃ
অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফাঙ্গাল হয় এই ফাঙ্গাল দূর করতে মধু ও রসুনের মিশ্রণ খুব কার্যকরী।

৬। যৌন শক্তি বাড়াতে মধু ও রসুনঃ
যাদের যৌন শক্তি দুর্বল তারা নিয়মিত মধু ও রসুনের মিশ্রণ খেলে যে কোন যৌন দুর্বলতা কেটে যায়।
মধু ও রসুন 


সাস্থ্য সম্পর্কিত আর তথ্য পেটে এখানে ক্লিক করুন। 

Friday, January 20, 2017

নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেয়ে বাড়িয়ে নিন আপনার যৌবন শক্তি।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
তুলসী পাতার রস 

তুলসী পাতা আমরা সকলেই চিনি কিন্তু অনেকেই জানিনা এই তুলসী পাতা কি কি সাস্থ্য উপকারিতা করে থাকে। চলুন আজ জেনে নেই তুলসী পাতার রসের ঔষধি গুনাগুন।

যৌন শক্তি বাড়াতে কি ভাবে তুলসী পাতার রস খাবেন বা কি ভাবে তুলসী পাতার রস বানাবেন।

যারা যৌন মিলনে অনীহা ভাব প্রকাশ করেন। যাদের যৌন শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে তাদের জন্য আজকে একটি দারুন টিপস।

প্রথমে ভাল করে তুলসী পাতা সংগ্রহ করে পানিতে ধুয়ে নিন। এবার এই তুলসী পাতার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ডার করে নিন। ব্লেন্ডার করা রসটুকু ফ্রিজে রেখে দিনে দুই বার দুই চামচ করে অর্থাৎ সকালে দুই চামচ আর রাতে দুই চামচ করে খেতে থাকুন এইভাবে ১ মাস খেয়ে যান তাহলে দেখবেন আপনার হারানো যৌবন ফিরে পেতে খুবই ভাল কাজ করবে। তাছাড়াও তুলসী পাতা যৌন শক্তি ছারাও আরও অনেক ঔষধি কাজ করে থাকে।

কাশি সারাতে সরাসরি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।

ত্বক মসৃণ রাখতে তুলসী পাতা নিয়মিত খেতে পারেন।

ঠাণ্ডা সাড়াতে তুলসী পাতার রস খেলে তারাতারি ঠাণ্ডা ভাল হয়ে জায়।

ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে তুলসী পাতার রস বন্ধ হয়া নাকে ২-১ ফোটা দিলে তারাতারি সেরে যায়।
তুলসী পাতার রস 



সাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন এইখানে 

Monday, January 9, 2017

মহিলাদের মাসিকের সমস্যায় কলার মোচার উপকারিতা।

                                                          বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কলার মোচা



আমরা মানুষ। আর আমাদের রয়েছে কিছু মৌলিক চাহিদা। এগুলো হল অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা। আমাদের এই মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা আদীমকাল থেকেই গাছ-পালা, বন-জঙ্গল থেকে মিটিয়ে আসছি। চিকিৎসা শাস্ত্রে গাছ-পালার ব্যাবহার অনস্বীকার্য। এমনই একটি উপকারি ফল হল কলা। আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায়ই কলা গাছ দেখা যায়। কলা সারা বছরই পাওয়া যায়। আমাদের দেশে অনেক ধরণের কলা পাওয়া যায়। কলার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু আমরা কি জানি কলার মোচারও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আজ আমরা কলার মোচার ওইসব গুণাগূন সম্পর্কে জানব। তাহলে আসুন জেনে নিই...


কলার মোচার সাস্থ্য উপকারিতাঃ

গলগন্ড থেকে সুরক্ষায় কলার মোচাঃ
কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো গলগন্ড বা গায়টার রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা করে। আয়োডিন সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
রক্তশুণ্যতায় কলার মোচাঃ
মানবদেহে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে বা রক্তশুণ্যতায় কলার মোচা খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। রক্তের হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করে তুলতে কলার মোচার জুড়ি নেই।
রাতকানা রোগে কলার মোচাঃ
কলার মোচায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়। দৃষ্টিশক্তি জনিত যেকোন সমস্যায় কলার মোচা খুবই উপকারি খাদ্য।
ত্বকের যত্নে কলার মোচাঃ
আগেই বলেছি কলার মোচায় রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান। এগুলো আমাদের ত্বকের খুব ভাল যত্ন নেয়। দাঁতের যত্নে ও চুলের যত্নে কালার মোচার খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রয়েছে।
মহিলাদের মাসিক জনিত সমস্যায় কলার মোচাঃ
নির্দিষ্ট বয়স পরে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ও হাড়েড় গঠন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ উপদেশ হল কলার মোচা খাওয়া। বয়স্ক নারী-পুরুষ, বাড়ন্ত শিশু, খেলোয়াড় এদের জন্য কলার মোচা খুবই উপকারি একটি সবজী।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কলার মোচাঃ
গর্ভাবস্থায় কলার মোচা খাওয়ার পরামর্শ দেন অধিকাংশ ডাক্তার। কারন গর্ভস্থ শিশুর মস্তিস্কের ৭০% গঠনই মায়ের গর্ভে হয়ে থাকে। কলার মোচায় অনেক পুষ্টিগুণ থাকায় শিশুর মস্তিস্ক সুগঠিত হতে সহায়তা করে।
সুস্থ্য থাকতে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন
কলার মোচা

বিঃদ্রঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কলার মোচা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সুসাস্থ্য বজায় রাখুন।

সর্ব রোগের মহা ঔষধ কালিজিরা তেল ব্যাবহার করে দেখুন।

কালিজিরা তেল
                                                        



প্রাচীন কাল থেকেই গাছ-পালার ব্যাবহার অনস্বীকার্য। চিকিৎসা, আসবাবপত্র, জ্বালানী, অস্ত্র, খাদ্যের জোগাড় ইত্যাদি নানা ব্যাবহারে গাছ-পালা অন্যতম ভূমিকা রাখে। আজকাল ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও গাছের পাতা-লতা ব্যাবহার করা হয়। সবচেয়ে বেশী উপকারী উপাদানটি হল অক্সিজেন যা আমরা নিশ্বাসের সাথে নিয়ে থাকি আর কার্বন-ডাই অক্সাইড যা প্রশ্বাসের সাথে ত্যাগ করে থাকি এটা আমাদের প্রতি মুহুর্তের ব্যাবহার্য উপাদান। ফলে গাছ না থাকলে আমরা অক্সিজেন কোথায় পেতাম কার্বন-ডাই অক্সাইড কোথায় যেত? যদিও পৃথিবীর ৪ ভাগের ১ ভাগ গাছ-পালা থাকা জরুরী কিন্তু তা নেই। তার পরেও আমাদের চির সবুজ বাংলাদেশে গাছপালার অভাব নাই। আজ আমরা জানব কালিজিরা সম্পর্কে।

কালিজিরা নামে আমরা প্রায় সকলে চিনলেও এর আরো কিছু নাম রয়েছে। কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, ফিনেল ফ্লাওয়ার, ফিনেল, হাব্বাটুসউডা, ও কালজ্ঞি ইত্যাদি। এর বৈজ্ঞানীক নাম Nigella Sativa। তো যে নামেই ডাকুননা কেন এই কালিজিরার রয়েছে হাজার হাজার উপকারিতা যা হয়ত আমি বলে শেষ করতে পারব না। মানবদেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে এই কালিজিরার জুড়ি নেই। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক কালিজিরার কি কি সাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

কালিজিরার সাস্থ্য উপকারিতাঃ
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে কালিজিরাঃ
১ চা চামচ কমলার রস/পুঁদিনা পাতার রস/১ কাপ রঙ চায়ের সাথে ১ চা চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে নিয়মিত দিনে ৩ বার সেবন করবেন। এতে দুশ্চিন্তা দূর হয়। কালি জিরা একধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপ্টিক, যা আমাদের মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও মেধা শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
মাথা ব্যাথায় কালিজিরাঃ
যাদের মাথা ব্যাথার সমস্যা রয়েছে তারা ১/২ চামচ কালিজিরার তেল মাথায় ভাল করে লাগাবেন এবং ১ চামচ কালিজিরার তেল মধুর সাথে টানা ২ সপ্তাহ সেবন করবেন মাথা ব্যাথা সেরে যাবে।
সর্দিতে কালিজিরাঃ
১ চা চামচ কালিজিরার তেল সম পরিমাণ মধু অথবা ১ কাপ রঙ চায়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করবেন এবং মাথায় ও ঘাড়ে মালিশ করবেন যত দিন না সর্দি সারে। এছাড়া ১ চা চামচ কালিজিরার তেলের সাথে ৩ চামচ মধু ও ২ চামচ তুলিসী পাতার রস মিশিয়ে পান করবেন এতে জ্বর, সর্দি, কাশি সব সারে। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেঁটে কপালে প্রলেপ দিন। পাতলা কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুঁকতে পারেন ১ মিনিটেই কাজ হবে ইনশাল্লাহ।
বাতের ব্যাথায় কালিজিরাঃ
বাতের ব্যাথা হলে ব্যাথার স্থান ভাল করে ধুয়ে খালি হাতে মালিশ করার পর কাঁচা হলুদের রস মধু বা ১ কাপ রঙ চা ও কালিজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করবেন।
চর্মরোগে কালিজিরাঃ
খুস-পাচড়া বা অন্যান্য চর্মরোগ হলে কাঁচা হলুদ মধু বা রঙ চা ও কালিজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ৩ বার ২/৩ সপ্তাহ সেবন করবেন।
হৃদরোগে কালিজিরাঃ
যাদের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে তারা কালিজিরার তেলের সাথে দুধ মিশিয়ে পান করতে পারেন এবং কালিজিরার তেল নিয়মিত বুকে মালিশ করতে পারেন এভাবে ৪/৫ সপ্তাহ ব্যাবহার করলে আরাম পেতে পারেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালিজিরাঃ
প্রতিদিন সকালে কালিজিরার তেল সারা গায়ে মালিশ করবেন এবং কাঁচা রদুন চিবিয়ে খাবেন এবং রোদে আধাঘন্টা বসে থাকবেন। এছাড়া উপরোল্লেখিত নিয়মে সেবন করলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শ্বাসকস্টে কালিজিরাঃ
হাঁপানী বা শ্বাসকস্টে কালিজিরা ভর্তা খাবেন। ১ কাপ রং চা, কালিজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেবন করবেন।
অর্শ্ব রোগে কালিজিরাঃ
১ চামচ মাখন ও তিলের তেল, কালিজিরার তেল খালি পেটে নিয়মিত প্রতিদিন খেলে অর্শ্ব রোগ সেরে যায়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে কালিজিরাঃ
১ চিমটি কালিজিরা ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায়।
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কালিজিরাঃ
নারী-পুরুষের যৌন সমস্যায় কালিজিরা বেশ উপকারি। প্রতিদিন খাবারের সাথে কালিজিরা খেলে স্পার্ম ঘন হয়। স্পার্ম বৃদ্ধি পায়।
মহিলাদের মাসিকের সমস্যায় কালিজিরাঃ
কাঁচা হলুদের সাথে সম পরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে কালিজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেবন করলে এধরনের সমস্যা দূর হয়।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালিজিরাঃ
যেসকল মায়েরা দুগ্ধহীনতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন ৮/১০ গ্রাম কালিজিরা গুড়া করে সেবন করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
তারুণ্য বজায় রাখতে কালিজিরাঃ
কালিজিরায় রয়েছে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামক প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড যা আমাদের ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা করে।
গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যায়ঃ
১ চামচ কালিজিরার তেলের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দূর হয়।
জন্ডিস জনিত সমস্যায় কালিজিরাঃ
জন্ডিস বা লিভারের সমস্যায় ১ গ্লাস ত্রিফলার শরবতের সাথে ১ চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ৩ বার ১/১.৫ মাস সেবন করুন আশা করি  সমাধান হবে।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালিজিরাঃ
বাড়ন্ত শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত কালিজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে কালিজিরাঃ
২ চামচ কালিজিরা বাঁটা পানি দিয়ে দিনে ২ বার টানা খেতে থাকুন ১ মাস পরে হজম শক্তি বেড়ে যাবে।
দাঁতের সমস্যায়ঃ
কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলকুচি করলে জিহ্বা, তালু, দাঁতের জীবাণু মরে যায় ও দাঁতের সাস্থ্য ভাল থাকে ও দাঁত ও মাড়ি ব্যাথা হলে ব্যাথা সেরে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালিজিরাঃ
নিয়মিত কালিজিরা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সহজে কোন অসুখ হয় না।
কিডনীতে পাথর হলে কালজিরাঃ
২৫০ গ্রাম কালিজিরা গুড়া ও মধু মিশিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন করুন কিছু দিন পরে সমস্যার সমাধান লক্ষ করতে পারবেন।
চোখ ব্যাথা হলেঃ
চোখে ব্যাথা হলে চোখের উপরিভাগে কালিজিরার তেল মালিশ করে ঘুমাতে যান চোখের ব্যাথা সেরে যাবে।
ডায়রিয়া হলেঃ
ডায়রিয়া হলে স্যালাইনের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও কালিজিরার তেল দিনে ২ বার সেবন করুন।
জ্বর হলে কালিজিরাঃ
জ্বর হলে সকাল-বিকাল লেবুর রসের সাথে ১ চামচ কালিজিরার তেল সেবন করুন। জ্বর সেরে যাবে।
আঁচিল হলে কালিজিরাঃ
আঁচিল হলে হেলেঞ্চা দিয়ে আঁচিল ঘসলে আস্তে আস্তে উধাও হয়ে যাবে।

সাস্থ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন


কালিজিরা তেল

সতর্কতাঃ গর্ভাবস্থায় ও ২ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কালিজিরার তেল সেবন করা উচিৎ নয় তবে বাহ্যিক ব্যাবহার করা যাবে।

বিঃদ্রঃ কালিজিরা সম্পর্কে এত কিছু বলার নাই। কারন এই কালিজিরা সম্পর্কে আমাদের নবীজী (সাঃ) বলেছেন...
কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ।

Thursday, January 5, 2017

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন।

বিসমিল্লহির রাহমানির রাহিম

 
তেলাপিয়া মাছ 

আমিষ জাতীয় খদ্যের তালিকায় মাছ অন্যতম। শরীরের আমিষের অভাব দূর করতে মাছ খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। আর এর মধ্যে তেলেপিয়া মাছ অন্যতম। আমরা আজ জানব তেলাপিয়া মাছে কি কি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

তেলাপিয়া একটি বাংলা গাতের মাছ। সাধারণত পুকুরেই তেলাপিয়া মাছ চাষ হয়। এই তেলাপিতা মাছে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও এমাইনো এসিড। তেলাপিয়া মাছ কম ক্যালরি ও কম চর্বি যুক্ত হয়ে থাকে। তেলাপিয়ায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড ও পেন্টোথেনিক এসিড। তেলাপিয়া মাছ খুবই সহজলভ্য ও সস্তা।


তেলাপিয়া মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

ওজন কমাতে তেলাপিয়াঃ
তেলাপিয়া মাছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকলেও চর্বি ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। যাদের অতিরিক্ত অজনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত তেলাপিয়া মাছ খেতে পারেন।

শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে তেলাপিয়াঃ
আমাদের দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশে প্রাণীজ প্রোটিন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। শরীরের বিভিন্ন কোষ, পেশী, অঙ্গ, ঝিল্লি, কলা ইত্যাদির স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন ও এমাইনো এসিড খুবই জরুরী। আর তেলাপিয়ায় এই সব উপাদান রয়েছে। তেলাপিয়ার একটি আদর্শ টুকরায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।

হাড়ের যত্নে তেলাপিয়াঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। তেলাপিয়া মাছে রয়েছে ফসফরাস নামক উপাদান। যা আমাদের হাড়, নখ ও দাঁতের খুব ভাল যত্ন নেয়।

প্রোস্টেট ক্যান্সার রোধ করেঃ
অন্যান্য সাধারণ মাছের তুলনায় তেলাপিয়া মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম। এই সেলেনিয়ামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। ফলে আমরা ক্যান্সার মুক্ত থাকতে পারি।

বার্ধক্য রোধে তেলাপিয়াঃ
তেলাপিয়া মাছে বিদ্যমান সেলেনিয়াম আমাদের শরীরের ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই কে উদ্দীপিত করে যা আমাদের ত্বকের গুণগত মাণ ঠিক রাখে ও চেহারার বিলিরেখা দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
তেলাপিয়া মাছে বিদ্যমান সেলেনিয়াম রক্তে শ্বেত কণিকার সংখা বৃদ্ধি করে জীবাণু ও টক্সিনের কার্যকারীতা নষ্ট ক্করে দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও থাইরয়েডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখেঃ
তেলাপিয়া মাছে রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড। যা আমাদের শরীরের কারডিওভাস্কুলার পদ্ধতি থেকে কোলেষ্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইড লেভেল কমিয়ে দেয়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও বিভিন্ন ক্রনিক্যাল সমস্যা থেকে আমাদের সুরক্ষা করে। তেলাপিয়ায় বিদ্যমান পটাশিয়াম আমাদের দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

 
তেলাপিয়া মাছ 

বিঃদ্রঃ তেলাপিয়া মাছ অত্যন্ত ভিটামিন যুক্ত হওয়া সত্বেও বাচ্চা ও গর্ভবতী মহিলাদের অল্প পরিমাণে খাওানোই উত্তম।