বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
গাব
আমাদের সকলেরই পরিচিত। গাব খেতে খুব বেশী সুস্বাদু না। তাই আমরা সাধারণত গাব খাই
না। গাবের আঠা অনেক কাজে লাগে। আরো অনেক ব্যাবহার আছে গাবের। কিন্তু আমরা কি জানি
গাবের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে? না জানলে আসুন আজ জেনে নিই গাবের কি কি
স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
গাব
আমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশী দেখা যায়। গাব চৈত্র মাসে পাকে। কাঁচা গাবের রং
গাঢ় সবুজ ও পাঁকা গাবের রং কমলা রঙের হয়। গাব খেতে মিষ্টি স্বাদের এবং কষা হয়।
গাবের ইংরেজী নাম Indian Persimmon।
প্রতি ১০০
গ্রাম গাবে রয়েছেঃ-
এনার্জি ৫০৪ কিলোক্যালরি, জল ৮৩-৮৪.৩ গ্রাম, আমিষ ২.৮
গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, শর্করা ১১.৮ গ্রাম, ফাইবার বা আঁশ ১.৮ গ্রাম, চিনি ১১.৪৭
ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
গাবের
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
শারীরিক
দুর্বলতা কাটাতে গাবঃ
গাবে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি বা এনার্জি ও আমিষ থাকায়
নিয়মিত অল্প পরিমাণে গাব খেলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।
রক্তচাপ
বৃদ্ধি করতে গাবঃ
যাদের রক্তচাপ কম তারা অল্প পরিমাণে গাব খাবেন। রক্তচাপ ঠিক
হয়ে যাবে।
ওজন
কমাতে গাবঃ
যারা ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা গাব খবেন। গাব অতিরিক্ত
ওজন কমাতে খুব ভাল কাজ করে।
হজম
শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
গাবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে।
পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করতে গাব খুব ভাল কাজ করে।
ক্যান্সার
প্রতিরোধে গাবঃ
গাবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের
শরীরের ক্যান্সারের কোষ গুলোকে ধ্বংস করে ফলে আমরা ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত থাকি।
হৃদ্রোগের
চিকিৎসায় গাবঃ
গাবে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের হৃদযন্ত্রের রক্ত
চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে আমরা হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি মুক্ত থাকি ও স্বাভাবিক ভাবে
জীবনযাপন করতে পারি।
মৌসুমী
রোগে গাবঃ
মৌসুমী রোগে আমরা প্রায় সবাই কম বেশী আক্রান্ত হই। এর কারন
আমদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। গাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায়
নিয়মিত অল্প পরিমাণে গাব খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে
আমরা মৌসুমী রোগ থেকে মুক্তি পাই।
স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো পরামর্শ পেতে এখানে ক্লিক করুন
বিঃদ্রঃ গাবের এত উপকার থাকা সত্বেও একটি সমস্যা আছে। আর এটি বেশী পরিমাণে গাব
খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
it's good news
ReplyDelete